ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ধীরে ধীরে বাড়ছে জঙ্গি। এর পাশাপাশি এবার নতুন ওরে শুরু হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলা। উপত্যকায় ফের জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন এক কাশ্মীরি পণ্ডিত স্কুল শিক্ষিকা। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম এলাকার গোপালপুরা হাই স্কুলের এক স্কুল শিক্ষিকাকে সম্প্রতি জঙ্গিরা গুলি করে খুন করেছে। স্কুলের মধ্যে ঢুকেই জঙ্গিরা ওই শিক্ষিকাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল ভূ-স্বর্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অবস্থা নিয়ে। মোদী সরকার কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ তুলে দেওয়ার পর অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব বলছে, আদতে কিছুই হয়নি। আর এবার সরকার থেকেই ভরসা উঠে যাচ্ছে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকেই জঙ্গিদের বন্দুকের নিশানা হচ্ছেন একের পর এক কাশ্মীরি পন্ডিত এবং অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দিন কয়েক আগেই জঙ্গিরা এক কাশ্মীরি পণ্ডিত যুবককে সরকারি অফিসে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। সরকারি অফিসে কর্মরত ছিলেন মৃত ওই কাশ্মীরি পন্ডিত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল উপত্যাকার বিভিন্ন এলাকায়। এখন আবার এই শিক্ষিকার মৃত্যু বিক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে তাদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে তাঁদের কাশ্মীর থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। একই সঙ্গে তাদের কথা, কেন্দ্রকে আর ভরসা করছেন না তারা। তাই অনেকেই হেঁটে কাশ্মীর ছাড়তে চাইছেন।

ইতিমধ্যেই গোটা কাশ্মীর জুড়ে প্রায় ৪ হাজার জন কাশ্মীরি পণ্ডিত বিক্ষোভে সামিল হন। প্রত্যেকেই নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু চাইছেন না। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার যদি এখনই তাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ১৯৯০ সালের মতোই অবস্থা হবে কাশ্মীরে। আবার প্রচুর পণ্ডিতের মৃত্যু হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবি নিয়ে এখন উপত্যকার জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ বাড়ছে।