রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিষয়ে সামনে এসেছে বহু তথ্য। এই ইস্যুতে তদন্ত নেমে প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি দাবি করেছিল যে, প্রায় ১০০ কোটির দুনীতি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এখন ইডির দাবি, ১০০ কোটি নয়, নিয়োগ কাণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে ধারনা হচ্ছে তাদের।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শেষতম গ্রেফতারি হয়েছে আরেক তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে ১১ দিনের হেফাজতে ইতিমধ্যেই চেয়েছে ইডি। তাঁকে নিয়ে আদালতে দাবি করা হয়েছে যে, শান্তনুর থেকে দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাতে বিপুল তথ্য আছে। ইডি মনে করছে, এই দুটি মোবাইল থেকে আগামী দিনে আরও বিস্ফোরক কিছু তথ্য সামনে আসবে। ইডি আরও বলছে, শান্তনুর ওই দুটি মোবাইল ফোনে প্রচুর অ্যাডমিড কার্ড এবং ছবি ছিল। যাদের নথি ছিল তারাই চাকরি পেয়েছে।
যদিও ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”এই কেসের মাস্টারমাইন্ড হল কুন্তল (ঘোষ)। ও মিথ্যা অভিযোগ এনে সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এর তার নাম বলছে৷ আর নিজের টাকাগুলো অন্য দিকে সাইড করছে৷” কিন্তু কোথায় সরানো হচ্ছে টাকা? এই প্রেক্ষিতে শান্তনুর দাবি, অন্য রাজ্যে টাকা সরিয়ে দিচ্ছে কুন্তল। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেছেন, নিয়োগ কাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।