সদ্য মাত্রই দল বদল করেছেন তিনি৷ জার্সি বদল করেই বোমা ফাটালেন জয়প্রকাশ মজুমদার৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন তিনি৷ জয়প্রকাশ বললেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাঠি করে জিতেছিলেন শুভেন্দু৷ একথা নাকি শুভন্দুই তাঁকে বলেছিলেন৷ দাবি জয়প্রকাশের৷ নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় নিয়ে এর আগে একই সুর শোনা গিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও৷
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছেন বলে নিজে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ পরে কী ভাবে তিনি জিতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর প্রাক্তন দুই সতীর্থ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয়প্রকাশ মজুমদার৷ এদিন জয়প্রকাশ বলেন, “২০২১ সালের ২ মে বিকেল পাঁচটার সময় নির্বাচনের ফল নিয়ে হেস্টিংসে বিজপি’র রাজ্য সদর দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলাম আমিই৷ প্রেসের সামনে বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে মাননীয়া জিতেছেন, তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারী হেরে গিয়েছেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই খবরটাই ছিল। কিন্তু পরে ফলাফল উল্টে যায়৷ পরবর্তী সময় আমি শুভেন্দুকে বলেছিলাম, আমরা যে খবর পেলাম, তাতে আপনি হেরে গিয়েছেন৷ সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথাই বলা হয়৷ তারপর আপনি জিতে গেলেন কী ভাবে? জবাবে এক রহস্যময় হাসি হেসে শুভেন্দু আমাকে বলেছিলেন, জয়প্রকাশ দা অনেক কায়দা করতে হয়েছে।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ তিনি বলেন, ভোটে হারার খবর পেয়েই পুনর্গননার দাবি জানিয়েছিলেন৷ এর পরেই ফল বদলে যায়৷
তৃণমূলে যোগ দিয়েই পদ পেয়েছেন জয়প্রকাশ৷ রাজ্যের সহ সভাপতি হওয়ার পরেই শনিবার নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ খোলেন তিনি৷ তবে তাঁর বক্তব্যে আমল দিতে মারাজ বিজেপি নেতৃত্ব৷ কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “সবে তো মাঠে নেমেছেন৷ আগে একটু স্টেডি হোন। পুরোপুরি তৃণমূলী হন৷ কংগ্রেস থেকে বিজেপি হতে কিছুটা সময় লেগেছে। এবার বিজেপি থেকে তৃণমূল হতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। আগে ধাতস্থ হোন, সব ঠিকঠাক করে নিন।’’