সদ্যমাত্রই সামলে করোনা সংক্রমণ থেকে সামলে উঠছে ভারত। এরই মাঝে আবার বাড়ছে নতুন উদ্বেগ।ভারতে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসেছে ওমিক্রন আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে নতুন এই করোনাভাইরাস প্রজাতির খোঁজ মিলেছে যা নিয়ে উদ্বেগের খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পাওয়া এই নতুন প্রজাতি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে হংকং থেকে শুরু করে ভারতেও। তাই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক হয়ে গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতকে সতর্কবাণী দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে নতুন এই করোনাভাইরাস প্রজাতির রুখতে কোনটা করা উচিত বা উচিত নয় সেই সংক্রান্ত তালিকা সরকারকে দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
প্রথমেই তাদের বক্তব্য যে এই সংক্রমণ রুখতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বতসোয়ানা থেকে নাগরিকদের আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বা বন্ধ করে দিতে হবে। এর পাশাপাশি জমায়াতের ওপর এখনও পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখতে হবে এবং নিয়ম অমান্য করলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটাও একটা বড় ব্যাপার যে এইভাবে জমায়েতে বাধা দিলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে যা ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যতটা সম্ভব ততটা জমায়েত আটকাতে হবে। এর পাশাপাশি টিকাকরণের জোর দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে আমজনতার মধ্যে সার্বিকভাবে প্রতিরোধক্ষমতা যত বেড়ে উঠবে ততই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হবে। এই ভাবেই সরকারকে ১০ রকম পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর জোর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কতগুলি শয্যা রয়েছে তাও নির্ধারিত করে রাখতে বলা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই এইমস প্রধান জানিয়েছিলেন যে এখনই দেশে বুস্টার ডোজ দরকার নেই কিন্তু এখন এই নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত হয়ে গেলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে এখনই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না তাই উদ্বেগ একটা থেকেই যাচ্ছে।