আচমকাই চাঞ্চল্যকর ঘটনা শিলিগুড়িতে। একের পর এক কিশোরী উধাও হয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ি থেকে। থানায় অভিযোগও দায়ের হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তদন্তের কূল কিনারা করতে পারছেন না পুলিশ আধিকারিকরা। কীভাবে নিখোঁজ হচ্ছে কিশোরীরা, কিশোরীদের নিখোঁজের পিছনে কারা রয়েছে, সেই নিয়ে তদন্ত যত এগোয়, শিলিগুড়ি পুলিশ আসার আলো দেখতে পায়। কিশোরীদের উদ্ধারের পরেও কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না মূল দুই অভিযুক্তের। অবশেষে পুলিশের জালে পড়ল দুই অভিযুক্ত। হদিশ মিলল নারী পাচার চক্রের।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি মহিলা থানায় দুই কিশোরীর নিখোঁজের অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় আরও এক কিশোরীর নিখোঁজের অভিযোগ জমা পড়ে। এরপরেই শিলিগুড়ি পুলিশ তদন্ত নামে। তদন্তে পুলিশ মোবাইল চেক করতে গিয়ে বুঝতে পারে তিন জনের সম্প্রতি একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। ভালো করে তদন্ত করে বুঝতে পারে পুলিশ, তিনজনের এক ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপরেই পুলিশের বুঝতে অসুবিধা থাকে না, ওই তিন কিশোরী নারী পাচার চক্রের পাল্লায় পড়েছে। ওদের হয়তো কোথাও পাচার করা হয়ছে। একাধিক সূত্র থেকে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ ওই তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করলেও মূল অভিযুক্তদের নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। ভক্তিনগর থানার পুলিশ আধিকারিকদের চেষ্টায় অবশেষে দুই অভিযুক্ত রাহুল সরকার ও উত্ততম সূত্রধরের নাগাল পায়। দুই অভিযুক্তকে আদলতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রের খবর, অসমের কোকড়াঝড়ের বাসিন্দা রাহুল সরকার। উত্তম সূত্রধরের বাড়ি শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অসম থেকে শিলিগুড়ি আসে রাহুল। শিলিগুড়িতে তিনি কিশোরী ও যুবতীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। যাঁদের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হতো, তাঁদের নিজেদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করত। কখনও টাকার লোভ তো কখনও ভালো চারির লোভ দেখিয়ে কিশোরী ও যুবতীদের পাচার করা হতো। এসব ক্ষেত্রে নানা ভাবে উত্তম সাহায্য করত বলে পুলিশ জানিয়েছে।