চাঞ্চল্যকর তথ্য, নিজের মেয়ে ছাড়াও আরো পঁচিশজন আত্মীয়কে চাকরি

এই মুহূর্তে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলছে টালমাটাল পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য। এবার নতুন মোড় নিলো দুর্নীতি মামলা। মেয়েকে শিক্ষকতার চাকরি করে দিয়েছেন তিনি এমনই অভিযোগ কার্যত প্রমাণিত। তিনি শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চাকরি তো গেছেই, এত মাসের বেতনও ফেরত দিতে হবে পরেশ অধিকারীর মেয়েকে। তবে এবার অভিযোগ আরও গুরুতর। জানা গেল, শুধু মেয়ে নয় আরও ২৫ জন আত্মীয়কে চাকরি করে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী! ‘কাজ’ শুরু করেছিলেন সেই বাম আমল থেকেই।

একাধিক সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমনিতেই পড়েছেন তিনি। পুরোপুরি রেহাই যে পরেশ অধিকারী কবে পাবেন তা জানা নেই। এরই মধ্যে আরও বড় অভিযোগে তিনি জেরবার। অভিযোগ, বাম আমল থেকে তৃণমূল আমলে তিনি কমপক্ষে ২৫ জন আত্মীয়ের চাকরি করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পরেশ অধিকারীর তিন দাদা এবং এক ভাই। দাদার স্ত্রীকে তিনি সরকারি চাকরি পাইয়ে দেন।

একই সঙ্গে তাঁর মেয়েকেও শিক্ষকতার চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি পরেশের ভাইয়ের চার ছেলের মধ্যে তিন জন খাদ্য দফতরে আছেন এবন একজন কলেজের ক্লার্ক পদে। এঁরা ছাড়াও মন্ত্রীর দুই বোন ছিলেন, তারাও করতেন সরকারি চাকরি। সেই চাকরিও করে দিয়েছিলেন তাদের ‘দাদা’। সকলকে বাদ দিয়ে পিসতুতো, মাসতুতো ভাইরা যারা থাকে তাদেরকেও কোনও না কোনও স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে এখন।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাম আমল থেকেই বিধায়ক বা মন্ত্রী পদের সুবিধা নিয়ে এসেছেন পরেশ অধিকারী। নিজের ছেলে-মেয়ে তো আছেই, পরিবারের খুব একটা কোনও সদস্যকে তিনি চাকরি করে দিতে পিছপা হননি। এখন যারা যারা তাঁর সুপারিশে চাকরি পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।