আগামী কমাসের মধ্যেই চাকরি ছাড়বে প্রায় একশো শতাংশের কাছাকাছি কর্মী

বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এই সময় অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ যেমন বদলেছে তেমনই বদলেছে জীবনকে দেখার আঙ্গিক। এখন মানুষ সুখের থেকেও বেশি শান্তি চান, বিলাসিতার থেকে বেশি প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেন। সেই কারণে হয়তো সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ছে মানুষের চাকরি জীবনে। কারণ অনেকেই এখন আর বেশি চাপ নিয়ে কাজ করতে চাইছেন না। মোটা অঙ্কের বেতনও যেন তাদের ধরে রাখতে পারছে না। আর এই বিষয়টিকে আরও জোরাল করল সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট। দাবি করা হচ্ছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই চাকরি ছাড়তে পারেন দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ।

চাকরি ও নিয়োগ সংস্থা মাইকেল পেজের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, আগামী ৬ মাসে চাকরি ছাড়তে পারেন দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ। কেউ কেউ বেশি বেতন না পাওয়ার ক্ষোভে আবার কেউ কাজের বোঝা কমাতে পদত্যাগ করবেন বলেই আশঙ্কা। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের ৬১ শতাংশ কর্মীই বর্তমানে কাজের বোঝা কমাতে চান। তারা আদতে মানসিক শান্তি চাইছেন। এ জন্য কম বেতনের চাকরিও তারা করতে পারেন। তাই কোনও না কোনও ইস্যু দেখিয়ে চাকরি ছাড়ার ধুম যেটা শুরু হয়েছে একটু একটু করে তা আগামী দিনেও বজায় থাকবে বলেই অনুমান। কিছু ক্ষেত্রে আবার কাজের পদ্ধতি নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। তাই চাকরি ছাড়া এখন যেন আর কোনও ব্যাপার হয়ে উঠছে না।

এদিকে আবার ইংল্যান্ডের ৭০ টি সংস্থা সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আপাতত ৬ মাস এইভাবেই কাজ হবে। তারা আসলে দেখতে চাইছে, কোম্পানি কতটা লাভবান হয় এতে। মনে করা হচ্ছে, বাড়ি থেকে কাজ বা ছুটির পরিমাণ বেশি হলে কর্মীরা অনেক বেশি ভালো মুডে থাকে, কাজের ইচ্ছাও নাকি বেড়ে যায়। কাজের মানের উন্নতি হয়। সত্যিই কি তাই? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতেই এই সিদ্ধান্ত।