রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড যেন পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এই অবস্থায় ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে।
তাঁর গ্রেফতারির পর এবার তদন্তের গতি আরও একটু বাড়িয়েছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে তারা হানা দিল মহিষবাথানের একটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অফিসে। এটি মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের অফিস বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই অফিসের কোনও যোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত অফিসের ভিতর তল্লাশি করা হচ্ছে।
ইডি মনে করছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরিমুখী কোর্স করানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত এবং চাকরির আশ্বাসও মিলত এখান থেকে। এদিকে মানিক সম্পর্কে ইডি আরও বড় দাবি করে বলেছে, অবৈধ প্রার্থীদের বিএড সার্টিফিকেট পাইয়ে দিয়েও কমিশন নিয়েছেন তিনি! তাদের দাবি, একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজের সঙ্গে মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর সংস্থার অলিখিত চুক্তি ছিল। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর টাকা নিয়ে কিছু বাকবিতর্ক হয় বলেও অনুমান করা হচ্ছে।