গ্রীষ্মকালীন সবজি অনেকেরই পছন্দ নয়। কিন্তু এই অত্যধিক গরমে শরীর সুস্থ রাখতে গেলে আনাজপাতিই ভরসা। এই মরশুমে যখন পটলের মতো সবজি মিলছে, তখন অন্য খাবারে ভরসা রাখবেনই বা কেন। অনেকেই নাক সিঁটকায় পটলের নাম শুনলে। আবার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ভর্তা হোক বা ভাজা, পটল খেতে ভালবাসেন। রোজের পাতে পটল রাখলে কী হয়, জানেন? সুগার থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে প্রচুর।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে: পটলের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিসে ভুগলে পটল খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: জল কম খেলে, ভাজাভুজি ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খেলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। রোজ পটলের তরকারি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে: পটলে ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। এছাড়া এই আনাজে ফাইবার থাকায় হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
ওজন বাড়ায় না: সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য শাকসবজি ভাল। পটলকে ওজন কমানোর ডায়েটেও রাখতে পারেন। এই সবজির মধ্যে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। গরমের আনাজ খেয়ে যদি ওজন কমাতে চান, পটলকে ডায়েটে রাখুন।
রক্ত পরিষ্কার হবে: রক্ত পরিষ্কার রাখতে পটলের জুড়ি মেলা ভার। এতে মুক্তি মেলে ত্বকের সমস্যা থেকেও। ত্বকের সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন পটলকে।
কোলেস্টেরল কমায়: রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। এই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। পাশাপাশি ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে তোলে পটল। এতে সহজেই হার্টের সমস্যাও এড়ানো যায়।
ত্বককে ভাল রাখে: নিয়মিত পটল খেলে সহজেই ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলো এড়ানো যায়। ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে পটলের মধ্যে। এই দুই পুষ্টি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।