করোনাভাইরাস নিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে মানুষ। সংক্রমণের সংখ্যা ওঠা পড়া লেগেই আছে। বাড়তে থাকা এই করোনার আবহে নতুন করে ডেঙ্গু নিয়ে বাড়েছে চিন্তা। ক্রমে আরও বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর সংখ্যা। আগেই স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে।
এই প্রেক্ষিতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকার আরও এক দফায় বৈঠকে বসতে চলেছে। স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশলের পৌরহিত্যে শনিবার প্রস্তাবিত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য কলকাতা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্র জানা গিয়েছে।
শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক পুরসভা এলাকায় উদ্বেগজনভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা এর আগেও একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন এই ইস্যুতে। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার তরফে একটি বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কলকাতা পুরসভার মেয়রের হাতে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়।
সেই রিপোর্টে কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডের উল্লেখ করা হয়েছে যা ডেঙ্গু প্রবণ। জানা গিয়েছে, ৬, ২৬, ৫৩, ৫৯, ৬৯, ৭৪, ৮২, ৮৩, ৯৩, ৯৪, ১১২, ১১৭ ও ১২১ নম্বর ওয়ার্ডকে অতি ডেঙ্গু প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও বাগুইআটি, বিধাননগর পুরসভার অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। করোনা, ডেঙ্গু ছাড়াও মাঙ্কিপক্স, ফ্লু, ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগ নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
আবার নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে যক্ষ্মাও। প্রধানত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। যক্ষ্মায় আক্রান্ত যে কোনও ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোনও রকম উপসর্গ যেমন দু-সপ্তাহের বেশি জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, কাশি ইত্যাদি থাকলে যেন বাড়িতে সময় নষ্ট না করা হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে।