বিগত দু বছর ধরে একাধিক গবেষণা চলছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে। করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতি নিয়েই এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনা। আরও নয়া প্রজাতি আসবে বলে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিন্তু ওমিক্রন নিয়ে যে ভয় এখনই কাটছে না তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত হারে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হলেও ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু। তাতেই অনেকে একে হালকা ভাবে নিচ্ছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, এটা করা কখনই উচিত নয়। কারণ ওমিক্রন শরীরে প্রবেশ করলে তা ভবিষ্যতের জন্য বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে। কিন্তু এত আতঙ্কের মধ্যেও আশার আলো দেখতে পেলেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের একাংশ। ওমিক্রন নিয়ে তাদের নতুন ব্যাখ্যা নিয়ে এখন চর্চা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ওমিক্রন নিয়ে একটি গবেষণার ফল হাতে পেয়েছেন। সেটি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একবার ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে তার সংক্রমণ খুব একটা বাড়াবাড়ি জায়গায় যাচ্ছে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতএব ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার পর করোনা হলে মৃত্যু ভয় অনেকেটাই কমে যাচ্ছে রোগীদের জন্য। যদিও আপাতত এই জিনিস দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে যে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করবে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা তাই বারবার সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন। এখন আবার ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেল্টা প্রজাতি নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। তাই কোভিড বিধি মেনে চলাই শ্রেয়, বলছেন তারা। তবে এখানে একটা প্রশ্ন আছেই। ওমিক্রন হওয়ার পর আবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে কেন? ভ্যাকসিনও কেন আটকাতে পারছে না পরের সংক্রমণ? এর উত্তরে গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন থেকে হোক কিংবা আগের কোভিড সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি, শরীরে ঢুকলে তা ভেঙে দিচ্ছে ওমিক্রন ভাইরাস। তাই বারবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।