রাজ্য সরকারের ঘোষণা থেকে বহু প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেল বিনামূল্যে চিকিৎসা কী আর মিলবে না? কী ভাবে চিকিৎসা করাবে গরিব মানুষগুলো? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছে৷ এ বিষয়ে যাবতীয় সংশয় দূর করে দিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা৷ তিনি জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও বিনামূল্যেই সরকারি হাসপাতালে মিলবে চিকিৎসা৷
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করার পর যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে৷ পরিবারের কোনও এক সদস্যের চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ৫ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স ফুরিয়ে গেলে বাকি সদস্যদের চিকিৎসা হবে কী ভাবে? তাঁরা কোথায় যাবেন? গতকাল স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছে দেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা করাতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷
এখানে আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হল কেন? জবাবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, যাঁদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে তাঁদের কতজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন, কতজন কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন সেটা দেখা অন্যতম লক্ষ্য৷ পাশাপাশি যাঁরা চিকিৎসা করাচ্ছেন, তারা কোথায় থাকেন? কারা কারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন? ভুয়ো কারও হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যায়নি তো?
তা চিহ্নিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ এছাড়াও যাঁদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তাঁরা কী ভাবে তা পাবেন সেই বিষয়টাও স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চিত করতে চাইছে৷ এই উদ্দেশে কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে হেল্প ডেস্ক খুলে দেওয়া হবে৷ যাঁদের কার্ড নেই তাঁরা সরকারি হাসপাতালেই কার্ড করিয়ে নিয়ে পারবেন৷ মূলত এই কারণ গুলোর জন্যই সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এর সঙ্গে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার কোনও সমস্যা নেই৷
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, স্ট্যাটিস্টিক্যাল উদ্দেশেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এখনও বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের হাতে কার্ড নেই৷ তাহলে যাঁরা কার্ড পেলেন তাঁরা কি ভুয়ো? সরকারি হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হলেন, তাঁদের কার্ড করিয়ে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে চলে এল৷