শত দোষারোপ দিলেও দলের পাশেই আছেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলার জল গড়িয়েছে অনেকদূর। নাম জড়িয়েছে একাধিক মন্ত্রীর। যার মাঝে অন্যতম প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাই নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট চাপেই রয়েছে। কিন্তু এই আবহেও হাল ছাড়তে রাজি নন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ‘সৈনিকের’ পাশেই আছেন। এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিধানসভা থেকে নাম না করে তিনি নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

মমতা এদিন বিধানসভায় বলেন, এক লক্ষ চাকরি দিতে গিয়ে একশোটা ভুল হতেই পারে, তা শুধরে নেওয়ার সময় দিতে হবে। বেকারদের চাকরি নিয়ে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে সময় মতোই। কিন্তু যে ‘দাদামণি’ চাকরি দিয়েছেন, তাঁর হিসেব কে নেবে? এই প্রশ্ন তোলেন মমতা। কটাক্ষের সুরে বলেন, মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তর দিনাজপুর চাকরি দেওয়া হয়েছে। ‘দাদামণি’ চাকরি দিয়েছে। সিবিআই তাঁদের ধরবে না? এই ভাবেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যারা বলছেন যে চাকরি খেয়ে নেবেন সেইসব বিজেপি নেতাদের বাড়িতে চাকরি হারানো ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

চাকরি ইস্যুতে সিপিএমকেও দুষতে এদিন ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছেন, সিপিএম আমলেও কম অবৈধ চাকরি হয়নি। তিনি চাইলেই ক্ষমতায় আসার পর সেই সব চাকরি খেয়ে নিতে পারতেন, তবে তা তিনি করেননি। সম্প্রতি আবার সিপিএম আমলের একটি চিরকুটের ছবি ভাইরাল হয়েছে যাতে চাকরি চেয়ে আর্জি জানান হয়েছে। সেই নিয়েও এখন বিস্তর চর্চা। বিজেপি তো আবার এই ইস্যুতে তৃণমূল-সিপিএমকে একই জায়গায় রেখে তোপ দেগেছে।