শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে একাধিক বার হাসির পাত্র হয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীনও আবার একটি ঘটনায় হাসি চেপে রাখতে পারলেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেখানে বাংলাদেশের পাঁচ ফিল্ডারকে একটি বলের পিছনে দৌড়তে দেখা গেল । অত জন মিলে দৌড়নোর কোন দরকারই ছিল না।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসের ২১তম ওভারে এই ঘটনাটি ঘটে। হাসান মাহমুদের বল জয়সূর্যের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল। তখন সেখানে কোনও ফিল্ডার ছিল না। এই সময় স্লিপের চার জন ও পয়েন্টে এক জন মোট পাঁচ জনেই সেই একটি বলের দিকে দৌড়তে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত যিনি পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে বল নিয়ে অন্য এক ফিল্ডারের দিকে ছুড়ে দেন। তিনি আবার সেই বল ছুড়ে দেন উইকেটকিপারের উদ্দেশ্যে।
রান বাঁচানো গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এরূপ প্রচেষ্টা দেখে হাসির রোল উঠেছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, যেখানে দু’জন গেলেই বল বাঁচান যেত সেখানে পাঁচ জনের ছোটার কোনও দরকারই ছিল না। দ্বিতীয় টেস্টেও হারের মুখেই দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে হেরে গেলে শ্রীলঙ্কার হাতে পরাজিত হতে হবে তাদের।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। দিমুথ করুণারত্নে ও কুশল মেন্ডিস যখন ব্যাট করছিলেন।মেন্ডিস তাইজুল ইসলামের একটি বলে রক্ষণাত্মক শট খেলেছিলেন। এই সময় খালি চোখে দেখেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, বল ব্যাটের মাঝে লেগেছে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ধারণা হয় যে ব্যাটে লাগার আগে বল প্যাডে লেগেছে। তিনি কয়েক জন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনার পর রিভিউ নেন।শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার ও আম্পায়ারও বাংলাদেশের এইরূপ সিদ্ধান্ত দেখে অবাক হয়ে যান । রিভিউতে দেখা যায়, বল প্যাডের সামান্য ধারেকাছেও ছিল না। বাংলাদেশেরই কয়েক জন ক্রিকেটার হাসি চাপতে পারেননি রিভিউ দেখার পরে । শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটারও এই কাণ্ডে হেসে ফেলেন। এরপর তিন ফিল্ডার মিলে একটি ক্যাচ ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে।