বিগত দু বছর ধরে চলছে সংক্রমণের ত্রাস। কিন্তু এইমুহুর্তে নিয়ন্ত্রনেই সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে দেশ। করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ আসবে এই রকম কোনও দাবি এখন আর করা হচ্ছে না। অধিকাংশের মতেই, করোনার চতুর্থ ঢেউ আর কোনও প্রভাব ফেলবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের কোভিড গ্রাফে আরও হেরফের হল আজ। গত ২৪ ঘন্টার তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল আজ। দৈনিক মৃত্যু কমল কিছুটা। অ্যাকটিভ কেস তুলনামুলকভাবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ হাজার ৫৪২। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২৩ হাজার ০৮৭ জন। দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। একই সঙ্গে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৯ লক্ষের বেশি ডোজ। তাহলে কি এটাই করোনার ইতি বলে মানা যাবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে তাতে করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে থেকে যাবে, তবে আর বাড়াবাড়ি সৃষ্টি করবে না। তাই এই নিয়ে আরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাদের বক্তব্য, প্যানডেমিক এবং এন্ডেমিক হওয়ার পথেই চলে এসেছে।
এদিকে ১২-১৪ বছর বয়সিদের চিকিৎসায় জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নোভোভ্যাক্স টিকাকে। কোভোভ্যাক্স ব্র্যান্ডের অন্তর্গত এই ভ্যাকসিনটিও তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হচ্ছে তাদের। এই টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান হবে ২৮ দিন। এই ভ্যাকসিনের দাম পড়ছে আনুমানিক ১৪৫ টাকা।