দুবার সূচি বদলানোর পরেও দ্বন্দ্ব তৈরি হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে। পর্ষদের দুই বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। স্কুল ছুটি থাকবে না কি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে, সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে পরীক্ষার্থী থেকে স্কুলের শিক্ষকরা। প্রতিবছরের মতো এবছরেও রমজান উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। আবার মাদ্রাসার বেশ কয়েকটি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। সেই ক্ষেত্রে মাদ্রাসাগুলোয় হোম সেন্টারে উচ্চমাধ্যমিক হওয়ার কথা। অন্যদিকে, বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ছুটির মধ্যেই কয়েকটা পরীক্ষা পড়েছে। যার জেরে মাদ্রাসার শিক্ষক থেকে পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারছেন না, উক্ত দিনগুলোতে ছুটি থাকবে না কি পরীক্ষা হবে।
আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য বন্ধ ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। শনিবার থেকে ফের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খুব প্রয়োজন না পড়লে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে শিক্ষকরা ছুটি নিতে পারবেন না। অন্যদিকে, ১৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ছুটি ঘোষণা করেছে। সেই ছুটির মধ্যেই ১৯, ২০, ২২, ২৩, ২৬ ও ২৭ তারিখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পড়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষকরা বুঝতে পারছেন না, উচ্চমাধ্যমিকের দিনগুলোতে তাঁরা ছুটি নেবেন কি না।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকরাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা কী করবেন। তবে মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে তাঁরা স্কুলে যাবেন। তার বিকল্প অন্যদিনে ছুটি দিতে হবে মাদ্রাসা পর্ষদকে। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।