ঘোষণা হলেও নির্দেশ এড়িয়ে চলছে কাজ। তবে এবার বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরতে চলেছে। পরবর্তী স্থান সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড। পরিবহণ দফতর আগেই বাস মালিকদের সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ জানানো হয়েছিল। সরকারি নির্দেশের পরেও বাস মালিক সংগঠনগুলো বাবুঘাট থেকে স্ট্যান্ড সরাতে মোটেই রাজি নয়।
১১ এপ্রিল পরিবহণ দফতরের তরফে মিনি বাস ও বাস মালিক সংগঠনের তরফে চিঠি দেয়। সেখানেই জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে বাস স্ট্যান্ড বাবুঘাট থেকে সরিয়ে সাঁতরাগাছিতে নিয়ে যেতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে সরকারের তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারের নির্দেশের পর সংগঠনের তরফে বাস মালিক সংগঠনগুলোতে সরাতে অস্বীকার করে।
বাস মালিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশের পর ১৮ টি রুটের বাসকে সরাতে হবে। সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড নিয়ে গেলে ১২ কিলোমিটার অতিরিক্ত বাস চালাতে হবে। যার জেরে খরচ বাড়বে। সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড নিয়ে গেলে রুট পারমিটেও বদল আনতে হবে। বাস মালিক সংগঠনগুলোর তরফে বাসস্ট্যান্ড সারানো হলে বাস চালানো বন্ধ করার হুমকিও পর্যন্ত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, পরিবহণ দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, আদালতের রায় মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ময়দান, ভিক্টোরিয়ার সামনের দূষণের জন্য বাবুঘাটের স্ট্যান্ডকে দায়ী করা হয়। পাশাপাশি এই স্ট্যান্ড থাকার জন্য বাবুঘাট চত্বর নোংরা হচ্ছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পরিবহণ দফতরের তরফে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতো একাধিক সংগঠনকে চিঠি পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, বাবুঘাট থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার বাস ছাড়ে। পাশাপাশি শহরতলিরও বেশ কয়েকটি রুটের বাস বাবুঘাট স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ে। আগেও বাবুঘাট থেকে স্ট্যান্ড সরানোর তোরজোড় করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এবারে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই দেখার।