বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে যাত্রা শুরু করে গঙ্গা বিলাস। বারাণসী থেকে ডিব্রুগড়, দীর্ঘ নদীপথে শুরু হয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদরী ‘গঙ্গা বিলাস’-এর যাত্রা৷ বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে গঙ্গা পথে বিহার, ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছবে গঙ্গা বিলাস৷ এরপর কলকাতা থেকে তা পাড়ি দেবে বাংলাদেশের উদ্দেশে৷ সেখান থেকে পৌঁছবে অসমের গুয়াহাটিতে। ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭ টি নদীর জল স্পর্শ করবে গঙ্গা বিলাস৷ দীর্ঘ যাত্রাপথে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সব রকম বন্দোবস্ত রয়েছে৷
কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাকজমকপূর্ণ এই নৌবিহারে বিপন্ন হতে পারে গাঙ্গেয় ডলফিন৷ কারণ গঙ্গা বিলাসের যাত্রাপথেই ছড়িয়ে রয়েছে তাদের আস্তানা৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বৃহত্তর ক্রুজ যাত্রায় জলজ সম্পদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে৷ যার প্রভাব পড়বে মৎস্যজীবীদের জীবন ধারণের উপড়েও৷ ভারতে অবশ্য গাঙ্গেয় ডলফিনদের সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে৷ বারাণসী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা ও গোমতীর সঙ্গমে শান্ত জলরাশিতে গড়ে উঠেছে ডলফিনের নিরাপদ আবাস৷
গত অক্টোবর মাসে এই অঞ্চলে বাচ্চা সহ এক ঝাঁক ডলফিন প্রত্যক্ষ করেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মীরা৷ তাঁদের অনুমান, দুই নদীর সঙ্গমস্থলে ৩৫ থেকে ৫৯ টি গাঙ্গেয় ডলফিন রয়েছে৷ তবে আশঙ্কার বিষয় হয়, গাঙ্গেয় ডলফিনদের এই নিরাপদ আশ্রয়স্থলের উপর দিয়েই আঁকা হয়েছে এমভি গঙ্গাবিলাস-এর যাত্রাপথ৷ দক্ষিণ এশিয়ায় মিষ্টি জলের ডলফিনের মধ্যে দুটি প্রজাতি রয়েছে।