পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে চিন্তা

ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি। একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির। এরই মাঝে নতুন বিপদ। শ্রীলঙ্কার পথেই কি এগোচ্ছে পাকিস্তান? প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথায় সেই ধরনেরই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজ ট্যুইট থেকে সেই আতঙ্ক ঘুরে ফিরে আসছে। মহম্মদ হাফিজ ট্যুইট করে বলেন, ‘লাহোরের কোনও পেট্রোল পাম্পে কোনও পেট্রোল নেই। কোনও এটিএম মেশিনে কোনও টাকা নেই। কেন সাধারণ মানুষ এই চরম ভোগান্তির শিকার হবেন?’ এই ট্যুইটে তিনি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিলাবল ভুট্টোকে ট্যাগ করেন। 

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকমাস ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ভালো নয়। ইমরান সরকারের আমলেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফিতী দেখতে পাওয়া যায়। পাকিস্তান জুড়ে রাজৈনিতক ডামাডোল সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানে ইমরান সরকারের পতন হয়। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।  কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্যের ব্যাপক পতন হয়। ডলার প্রতি মূল্য দাঁড়ায় ২০০ পাকিস্তানি রুপি।

তবে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অদূর অভিষ্যতে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইমরান খানের সময় থেকেই মুদ্রাস্ফিতী পাকিস্তানে শুরু হয়। তবে ইমরান খান সরকারের পতনের পর তা নতুন আকার ধারণ করে। যার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে ঋণের বোঝা। পাকিস্তান সরকার বিদেশ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছে।

ইতিমধ্যে পাকিস্তান পরিস্থিতি সামাল দিতে বিলাসজাত পণ্যের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। করোনা মহামারী, অপশাসন, উৎপাদিত পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পাকিস্তানে পড়তে শুরু করেছে। যার জেরে ব্যাপকহারে মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকে। বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় শূন্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশ থেকে বিলাসজাত পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।