বিগত দু বছরে বহুবার রূপ বদলেছে করোনা সংক্রমণ। করোনার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা এখনও করা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই বলেছে যে, আগামী দিনে আরও অনেক করোনা প্রজাতি আসতে পারে। পাশাপাশি ওমিক্রন নিয়েও যে সতর্ক থাকতে হবে সেই বার্তাও দেওয়া হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, এই ওমিক্রনই আতঙ্কের মূল কারণ। যত দিন যাচ্ছে ওমিক্রনের নতুন নতুন রূপ ত্রাস সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যেই আবার জানা গিয়েছে যে, নতুন দুই ধরণের ওমিক্রনের খোঁজ মিলেছে। তাহলে কতটা বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে? এর উত্তর আপাতত অজানা।
দিন দিন মারাত্মক ভাবে রূপ বদল করছে করোনার ওমিক্রন প্রজাতি। সম্প্রতি তার বিএ.৪ এবং বিএ.৫ রূপ চিহ্নিত হয়েছে। কয়েকটি দেশে করোনার এই দুই রূপ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে কি বিপদ আরও বেড়ে গেল? ‘হু’ আপাতত এই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে না। তারা জানাচ্ছে, এই প্রজাতিতে সংক্রমণের হার বেশি হলেও ভয়াবহতা মাত্রা খুব বেশি নয়। সেই রকম কোনও প্রমাণও এখনও পর্যন্ত কোথাও মেলেনি। তাই আপাতত এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে। যদিও যেখানে যেখানে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, জার্মানি, সেখানে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছ। তাদের বক্তব্য, আগামী কয়েক দিন এই ভাইরাসের রূপ নিয়ে গবেষণা করতে লাগবে। তাই ততদিন নিজেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
দেখতে দেখতে ২ বছর পার হয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণের ত্রাস যায়নি এখনও। দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের পর এখন চতুর্থ ঢেউ নিয়ে শঙ্কা। অনেক দেশ করোনা বিধি শিথিল করলেও ভাইরাসের নিত্য নতুন প্রজাতি নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়ে আছে সেটা অনস্বীকার্য। তার ওপর ওমিক্রনের এই দুই প্রজাতি আলাদাভাবে চিন্তার ভাঁজ তৈরি করছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। একাধিক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে, করোনা এন্ডেমিক পর্যায়ে ঢুকে পড়লেও তা নিয়ে কিছুটা চিন্তা আগামী দিনেও থাকবে। কারণ করোনার নতুন নতুন রূপ বারবার ফিরে আসতে পারে। সময় বিশেষে তা কতটা শক্তিশালী হবে কী হবে না, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, তাই সকলকে সতর্ক তো থাকতেই হবে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সম্ভাবনার কথা সবথেকে জোর দিয়ে বলেছে তা হল, টিকা এবং সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তির কারণে করোনা অন্য রূপ কোনও প্রভাবই খাটাতে পারবে না ভবিষ্যতে। অর্থাৎ করোনা থাকলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে মানুষ। তবে টিকা নেওয়া বা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নতুন রূপের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে আবার। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফের নয়া টিকার অপেক্ষা করতে হল, এমন পরিস্থিতিও আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।