বিশ্ব জুড়ে ত্রাস চলছে নতুন সংক্রমণ নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন প্রথম খোঁজ মিলেছিল করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির তখন থেকেই এই প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপকভাবে। ধীরে ধীরে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস এবং একে একে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। আগেই জানা গিয়েছিল যে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রামক। এখন এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, শুধু ডেল্টা নয়, বিটার তুলনায়ও পুনর্সংক্রমণ প্রায় তিন গুণ বেশি ওমিক্রনে।
জানা গিয়েছে, গত মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি সমীক্ষা চালানো হয় প্রায় ২৮ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করে। সেই পরীক্ষা দেই দেখা গিয়েছে যে কমপক্ষে প্রায় ৩৬ হাজার জন এই নতুন প্রজাতির কারণে আক্রান্ত হয়েছেন দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার। অর্থাৎ পুনর্সংক্রমণ অনেক বেশি ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। যদিও এই রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে পর্যালোচনা করা বাকি রয়েছে, কিন্তু মনে করা হচ্ছে সার্বিকভাবে করোনাভাইরাস কোন প্রজাতির তুলনায় এই প্রজাতি নিতান্তই বেশি সংক্রামক। এই সমীক্ষায় আরো উঠে এসেছে, করোনাভাইরাস প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারাও এই নতুন প্রজাতির দ্বারা এখন আবার নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটাই বেশি চিন্তার বিষয়। এই নতুন তথ্য সামনে আসার পর এই ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে গবেষণা আরো বেশি বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য।
তবে একটা জিনিস এখনো স্পষ্ট নয় যে নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে কতজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাই এই প্রজাতির রুখতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হতে পারে বা আদৌ কার্যকরী কিনা সেই ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তাই চিকিৎসক এবং গবেষক মহলের পরামর্শ এখনই বেশি আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকা। নির্দিষ্ট করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মেনে চলা।