দিল্লির অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ। এফআইআর দায়ের করা হল ক্রিকেটারের মা, বাবার বিরুদ্ধেও। রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য বয়স ভাঁড়ানো হয়েছে বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আইপি এস্টেট থানায় আনন্দ সিংহ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ বয়স ভাঁড়ানোর ফলে ওই ক্রিকেটার রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ট্রায়ালে নাম দিতে পেরেছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্যই ওই ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত ভাবে বয়স ভাঁড়ানো হয়েছে বলে দাবি। ওই ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগও পেয়ে যান। শুধু ওই ক্রিকেটার এবং তাঁর পরিবারের নয়, দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
তিনি নাকি ওই ক্রিকেটারের আধার কার্ড পরীক্ষা করেননি ইচ্ছাকৃত ভাবে। সেটা করলেই বয়স ভাঁড়ানোর তথ্য যাচাই হয়ে যেত। ওই ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই তিনি আধারের তথ্য যাচাই করেননি বলে অভিযোগ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পরে জন্মানো কোনও ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ ট্রায়ালে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু ১৯ মার্চ ২০০২ সাল ওই ক্রিকেটারের জন্য। অর্থাৎ, যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত বয়সের থেকে তিনি পাঁচ মাসের বড়। তাই ওই ক্রিকেটার নিজের বয়স কমিয়েছিলেন ইচ্ছাকৃত ভাবে। তাঁর জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ক্রিকেটারের জন্ম ৩০ অক্টোবর ২০০২। যদিও সেই তথ্য নেই আধার কার্ডে। ওই ক্রিকেটার দোষ প্রমাণিত হলে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত হবেন।