শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মাঝেই সম্প্রতি রাজ্যে আরো একবার বিপুল নগদ টাকার উদ্ধার হয়৷ দিন কয়েক আগে বিপুল টাকা সহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ৷ তাঁদের কাছ থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি৷
এই মামলার তদন্তে নেমে দিল্লির সাউথ ক্যাম্পাস থানা এলাকায় সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ীর খোঁজ পান তাঁরা। দিল্লি পৌঁছয় সিআইডির চার তদন্তকারীর একটি দল। তদন্তের করার সময় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির চার আধিকারিককে ‘আটক’ করে দিল্লি পুলিশ৷
আটক করা হয়েছে এক ইনস্পেক্টর, দু’জন এসআই এবং এক জন এএসআই-কে। সিইআইডির এই চার তদন্তকারীকে সাউথ ক্যাম্পাস থানায় আটকে রাখা হয়েছে৷ সিআইডির দাবি, সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি তল্লাশির জন্য তাদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল।
সমস্ত প্রোটোকল মেনে বিষয়টি সাউথ ক্যাম্পাস থানাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সিআইডির অফিসাররা সিদ্ধার্থর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গেলে তাদের বাধা দেয় সাউথ ক্যাম্পাস থানার পুলিশ৷ এমনকী ওই চার সিআইডি আধিকারিককে সাউথ ক্যাম্পাস থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।
সিআইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত এই সিদ্ধার্থ৷ রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিআইডি এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে এই সমস্যা মেটাতে আজই দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তিন শীর্ষ কর্তা। এই দলে থাকতে পারেন এডিজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক এবং দু’জন আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক৷