আবার একবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো বাগুইহাটিতে। বাগুইহাটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহরে। শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাগুইআটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে। এই ঘটনার মূলচক্রী সত্যেন্দ্র এবং আর এক জন ফেরার।
আগে থেকে পদক্ষেপ করা হলে এই ঘটনা ঘটত না বলেই দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিআইডি তদন্ত হবে। একই সঙ্গে ক্লোজ করা হল বাগুইআটি থানার আইসিকে। আগেই রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্য এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন।
গত ২২ অগস্ট থেকে বাগুইআটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুই কিশোর নিখোঁজ ছিল। দুই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তারা সেই দিনেই থানায় অভিযোগ জানান। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগ জানানো হয়েছে ২৪ অগস্ট। এই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ২৪ অগস্ট একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়েরের ১২ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। সেই ব্যক্তির থেকে গোটা বিষয়টি জানা যায়। ২৩ অগাস্টই ন্যাজাট থেকে অতনু দে-র দেহ উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ২৫ অগাস্ট হাড়োয়া থেকে উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহ। নয়ানজুলির দু’টি পৃথক জায়গা থেকে দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। ২৬ অগাস্ট অতনু এবং অভিষেকের ছবি বসিরহাট থানায় জমা দেওয়া হয়।