তবে কি এবার একটু স্বস্তি পাবে রাজ্যবাসী? প্রবল গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ৷ প্রখর রোদে তেতে পুড়ে একসার৷ সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাস্প থাকায় রয়েছে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি৷ কবে দেখা মিলবে কাল বৈশাখীর? অপেক্ষায় রয়েছে বঙ্গবাসী৷ এরই মধ্যে আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, দ্রুত বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সঙ্গে বইবে দমকা হাওয়া।
তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি এখনই নিস্তার পাচ্ছে না৷ সেখানে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পশ্চিমের পাঁচ জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রির আশোপাশে ঘোরাফেরা করবে৷
এদিকে, উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে দমকা হাওয়া৷ জেলাতে। দু’এক জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। বুধবার থেকে শনিবারের মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত কালবৈশাখী। অন্যদিকে, বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় এই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস৷ বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে ইঙ্গিত৷