রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের সিবিআইয়ের তরফে হাজিরার নির্দেশ

এই মুহূর্তে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতি একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল, চলছে টানটা উত্তেজনা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর ১০ জন ঘনিষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষককে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে।

এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে তলব করা হয়েছে আদালতে। এই দুই ঘটনা নিয়ে এখন টালমাটাল রাজ্য।

আদালত এদিন জানিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর ১০ জন ঘনিষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষককে। আর অনুব্রত কন্যাকে বৃহস্পতিবার আদালতে ডাকা হয়েছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষীর পরিবারের ১০ জন চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট ওই ১০ চাকরি প্রাপককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল আগেই।

অভিযোগ, যে সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে তিনি তাঁর দেহরক্ষী থাকাকালীন নিজের স্ত্রী থেকে শুরু করে দুই ভাই, মাসতুতো ভাই, মাসতুতো বোন, শ্যালক, শ্যালিকা, প্রতিবেশী সকলকে চাকরি দিইয়েছিলেন মন্ত্রীর সাহায্যে।

এখন আদালতের নির্দেশ ওই দেহরক্ষীর ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি যাচাই করবে সিবিআই। এছাড়াও ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধা তালিকা পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার বিষয়ে অভিযোগ ছিল, টেট পাশ না করেই বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছিলেন কেষ্ট-কন্যা৷ অনুব্রতর বাড়ি থেকে এই প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব মাত্র ৫ মিনিট৷

আবার শিক্ষিকার চাকরি পেলেও কোনও দিনও স্কুলে পড়াতে যাননি সুকন্যা মণ্ডল৷ হাজিরার রেজিস্টার পাঠানো হত অনুব্রতর বাড়িতে৷ কিন্তু প্রাপ্য বেতন ঠিক নিতেন তিনি। এই ইস্যুতে মামলা হয়, তার প্রেক্ষিতেই সুকন্যাকে তলব করেছে হাইকোর্ট।