একের পর এক হাজিরা এড়ানোই কি কাল হলো কেষ্টর? একবার দুবার নয় দশবার সিবিআই-এর তলব এড়িয়েছেন অনুব্রত। তিনি অসুস্থ আছেন, এই দোহাই দিয়েই প্রতিবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি৷
কিন্তু, গ্রেফতারি এড়াতে পারলেন না অনুব্রত মণ্ডল৷ গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতিতে গ্রেফতার করা সিবিআই৷
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল থেকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই গোয়েন্দাদের চোখা প্রশ্নের মুখে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার এনামুল হক এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে।
সেই সকল তথ্য সামনে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কেষ্টকে৷ সূত্রের খবর, বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার চুক্তি করে মসৃণভাবে চালানো হত গরু পাচার চক্র৷
আর গরু পাচারের ‘ডে টু ডে’ অপারেশন দেখভাল করত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তাঁকে জেরা করেই অনুব্রত মণ্ডলের নামে-বেনামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও প্রচুর পরিমাণে সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। ধৃতদের জেরা করে আরও জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় গরু পাচারের টাকা খাটাতেন অনুব্রত।
সেই সব সম্পত্তির খোঁদ পেতেই এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কোন পথে টাকা আসত, কোথায় সেই টাকা বিনিয়োগ হত, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই।