আজ থেকে বিগত ছয় বছর আগে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নামো। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের এক রাতে আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন নোটবন্দির কথা। জানান হয়েছিল, তৎকালীন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হচ্ছে। লক্ষ্য ছিল, কালো টাকা ফিরিয়ে আনা। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে তথ্য দিয়েছে তাতে অবাক হতেই হয়। জানান হয়েছে, ২০১৬ সালে ভারতে জনতার হাতে নগদ ছিল প্রায় ১৭.৭ লক্ষ কোটি টাকা।
আর ২০২২ সালের অক্টোবরের শেষে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ গত ছ’বছরে দেশের জনগণের হাতে নগদ বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ্য আসতেই চাপে পড়েছে বিজেপি সরকার। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে তাঁদের এই নোটবন্দি ইস্যুতে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই টুইট করে লিখেছেন, ”নোটবন্দি করে ৫০ দিনের মধ্যে কালো টাকা ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘রাজামশাই’। কিন্তু তা করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি।”
নোটবন্দির বর্ষপূর্তির প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসও বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছে। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ছ’বছর আগের একটা গিমিক ভারতের অর্থনৈতিক হত্যালীলায় পরিণত হয়েছিল।’’ তিনি জানিয়েছেন, ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করেছিলেন। এখন সেটাই সত্যি প্রমাণ হচ্ছে।