তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পর এবার রাজ্যের বাইরেও প্রভাব ফেলতে চায় রাজ্যের শাসক দল৷ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আরও ৮-১০টি রাজ্যে তৃণমূলের শাখা বিস্তার করাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য৷ আসমে দাঁড়িয়ে সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, গোয়া সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুরু হয়েছে সেই উদ্যোগ৷ মেঘালয়ে খুব বেশি দিন হয়নি ঘাসফুল ফুটেছে৷ শূন্য থেকে একেবারে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে তারা৷
কংগ্রেসের ঘর ভেঙে তাবড় তাবড় নেতাদের নিজেদের দলে নিয়ে এসেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। কানাঘুষো, মেঘালয়ে তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন পাঁচ বিধায়ক৷ মেঘালয়ের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে এই পাঁচ বিধায়কের যোগসাযোগ চলছে আঁচ পেয়েই জরুরি বৈঠক ডাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে মেঘালয় তৃণমূল সভাপতি চার্লস পিংরোপ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমাকে কলকাতায় জরুরি তলব করলেন অভিষেক।
খবর মিলেছে, সংগঠনের হয়ে সেভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না তৃণমূলের অনেক নেতাকেই। এই পরিস্থিতিতে ৩ মে মেঘালয় যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের৷ তবে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়৷ তবে মেঘালয়ে দলে ভাঙন ধরলে উত্তর পূর্ব ভারতে তৃণমূলের সম্প্রসারণ ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷