শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বর্তমান ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র লক আপ৷ ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ কিন্তু এর পর কোথায়?
ইডি হেফাজত শেষ হলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে পাঠানো হবে বলেই মনে করেছেন আইনজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা এবং দলের যাবতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এখন ইডি–কে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে পার্থ–অর্পিতা দোষী। তাহলেই ইডি হেফাজত থেকে জেল হেফাজত হবে তাঁদের৷ কোথায় রাখা হবে পার্থ-অর্পিতাকে? জানা গিয়েছে, আলিপুর মহিলা এবং প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থ ও অর্পিতাকে রাখার জন্য বন্দোবস্ত করে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে একাধিক ‘হাইপ্রোফাইল’ সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দি। সেই সকল বন্দিদের থেকে অনেক দূরের কোনও সেলে প্রাক্তন মন্ত্রীকে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর অর্পিতাকে রাখা হবে আলিপুর মহিলা জেলের বিশেষ সেলে৷
কারা দফতরের একটি সূত্রের খবর, পার্থ–অর্পিতাকে পৃথক জেলে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি দু’টি জেলে দুই বন্দিকে নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই বিকল্প ভাবনা। প্রয়োজনে অর্পিতাকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও পাঠানো হতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
কী কী ব্যবস্থা থাকছে তাঁদের জন্য? জানা গিয়েছে, সংশোধনাগারের সেল একেবারে ফাঁকা রাখা হচ্ছে। সেখানে কোনওরকম বিলাসবহুল ব্যবস্থা থাকছে না৷ যাতে কোনও প্রশ্ন উঠতে না পারে। বাইরে থেকে খাবার জেলের ভিতরে আনা যাবে না। জেলের বাকি বন্দিদের মতোই খাবার পাবেন পার্থ–অর্পিতা৷ আদালতের যদি তাঁদের জন্য কোনও বিশেষ নির্দেশ দেয়, তাহলে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের এক আধিকারিক৷