আটকানো গেছে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউকে৷ তৃতীয় ঢেউয়ে ওমিক্রনের দাপাদাপি শেষে ক্রমেই সুস্থ হচ্ছে বাংলা৷ কমতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ কমেছে মৃত্যুর হারও৷ বুধবার ২ মার্চ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্ত একজন রোগীরও মৃত্যু হয়নি৷
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৮ মার্চ রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। এক বছর পর ২০২২ সালের ২ মার্চ আরও একবার কোভিডড মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যতে নামল। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই কোভিড বিধিতে বদল আনা হয়েছে। এখন থেকে সব ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা আর বাধ্যতামূলক নয়।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নীচে নেমে গিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার ফের কিছুটা দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ে৷ কিন্তু বুধবারের বুলেটিনে মিলল স্বস্তি৷ শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু শূন্য রাজ্য৷ তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ২২৬ জনের। রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৯৫। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশি। ওমিক্রনের দাপটে প্রত্যেক দিন গড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷ যা দেখে স্বস্তিতে রাজ্যের মানুষ৷
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই করোনা পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধিতেও ছাড় দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবারই এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সব ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষা করাতে হবে সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, যাঁদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাঁদের উপসর্গ থাকলে অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে৷ কারণ দাঁতের সার্জারির জন্য চিকিৎসককে রোগীর খুব কাছাকাছি যেতে হয়৷ উপসর্গ না থাকলে, হাসপাতালে ভর্তি অথবা অস্ত্রোপচারের সময় কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে না।