ত্রিপুরার পুরভোটে বিজেপির জয় জয়কার, পাল্টে গেলো সমীকরণ৷ আগরতলা কর্পোরেশন দখল করল বিজেপি৷ আগরতলায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল দল৷ সেই সঙ্গে আগরতলা কর্পোরেশন হাতছাড়া হল বামেদের৷ তবে প্রথমবার ভোটে নেমেই বামেদের কড়া টক্কর দিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস৷
আগরতলা পুরসভায় ঘোষিত ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টিতেই জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ফল ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজয় উৎসব৷ কোথাও বাজছে শঙ্খ, কোথাও উলু ধ্বনি৷ শুরু হয়েছে গেরুয়া আবির খেলা৷ এদিকে ১৩টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল৷ ১২টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রেয়েছে বামেরা৷ দেখা যাচ্ছে বিজেপি’র চেয়ে আগরতলায় বিরোধী ভোট অনেক ওয়ার্ডেই বেশি৷ কিন্ত বিরোধী ভোট বিভাজিত হওয়ায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির৷ অনেকেই মনে করছেন বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুফল পেল শাসক দল৷
পুরভোটে ভোট বিভাজন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এক নম্বরে আসার জন্য এই লড়াইটা আমাদের দরকার ছিল৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা সুযোগ পেয়েছিল৷ তখন তৃণমূল কংগ্রেস লড়তে আসেনি৷ কিন্তু তারা ফেল করেছিল৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস লড়ছে৷ মাত্র দুই-আড়াই মাসের চেষ্টায় সংগঠন হয়েছে৷ তাতেই এই ট্রেন্ড৷ আমবাসায় খাতাও খুলেছে৷’’
কুণাল আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলকে ভয় পেয়ে এত হামলা, মামলা, ছাপ্পা ভোট এত কিছু করেও বহু ওয়ার্ডে মাত্র ৩০০-৪০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছে বিজেপি৷ পূর্ণাঙ্গ তথ্য পরিসংখ্যান হাতে আসেনি৷ তবে এতকিছুর পর তৃণমূলের এই উত্থানে ২০২৩-এ বিজেপি’র পরাজয় নিশ্চিত৷ ব্যাপক নির্বাচনী সন্ত্রাস না চালালে এবারই পরাজিত হত৷’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ প্রকাশ্যে ছাপ্পা ভোট হয়েছে৷ বিপুল এলাকায় মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি৷ এর পরেও মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে৷ আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ল৷ ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদ৷’’