অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো। উপস্থিত হলো বহু প্রতীক্ষিত সময়। নতুন ইতিহাস তৈরি করল বাংলাদেশ। দেশের মানুষের জন্য খুলে গেল আরও এক নতুন সম্ভাবনার দরজা। উদ্বোধন হল গর্বের পদ্মা সেতুর। বহু প্রতীক্ষিত সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে কয়েক লক্ষ দেশবাসীর উপস্থিতিতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল এই সেতু।
সবে মাত্র শনিবার সর্বসাধারণের জন্য খুলেছে বাংলাদেশের গর্ব পদ্মা সেতু। বাংলাদেশ তো বটেই ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বজুড়ে জোর আলোচনা চলছে এই সেতুকে নিয়ে। আর তার মধ্যেই দুজন বাইক আরোহীর প্রাণ কাড়ল পদ্মা সেতু। জানা যাচ্ছে রবিবার রাত দশটা নাগাদ পদ্মা সেতুতে একটি ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সময় বাইকের সওয়ার ছিলেন দুইজন যুবক। তাদের দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা হাসপাতালে যেতেই তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘সমকাল’ সূত্রে খবর, পদ্মা সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় যে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম মহম্মদ আলমগীর হোসেন (২২) ও মহম্মদ ফজলু (২১)। তাঁদের বাড়ি দোহার থানায় এলাকায়।
উল্লেখ্য গত শনিবার কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ধুমধামের সাথে উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতুর। এই সেতুর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হল আজ।’ এই সেতুকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের উচ্ছাস কার্যত চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই সেতুতে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনার মতো ঘটনা বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে। আর তাই এই ঘটনার পরপরই সোমবার অর্থাৎ ২৭ জুন ভোর ছটা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে একটি সরকারের নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সেতুতে বাইক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।