লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে বামেরা তাদের ইস্তাহার প্রকাশ করল। সেখানে আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান, সরকারি কর্মীদের প্রতি বছরে দু’বার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি, গরিব বয়স্ক নাগরিকদের জন্য মাসিক পেনশন, পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার মতো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি ইস্তাহারে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় অনিয়মের অভিযোগে বাম জমানায় ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁদের ফের চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইস্তাহারে বামেরা আরও জানিয়েছে তারা ক্ষমতায় আসলে ত্রিপুরায় স্বশাসিত জেলা পরিষদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দেবে। ইস্তাহারে ৮১ দফা বক্তব্য রাখা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল পুলিশের পদোন্নতি-সহ নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান। এছাড়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও কর্মসংস্থান তৈরি করা।
সেই সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বছরে ২০০ দিন কাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বামেরা। আর যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে তারা জোট করেছে তাই হাত শিবিরের সঙ্গে ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। এভাবেই একগুচ্ছ চমক রেখে ইস্তাহার প্রকাশ করে বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বামেরা। এই ইস্তাহার ভোটবাক্সে বামেদের কতটা সাফল্য এনে দেয় এখন সেটাই দেখার।