রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। চলছে একের পর এক খোঁজ। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১৬ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা৷ অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দনকে জেরা করে প্রায় ১৬ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে। এই টাকা এসেছিল অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে।
তবে এর আগে চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটি টাকার হদিস পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এরই মাঝে শুক্রবার চন্দনকে গ্রেফতার করেছ সিবিআই। চন্দনকে হেফাজতে পাওয়ার পর তাঁকে নতুন করে জেরা শুরু করেন অফিসাররা৷ চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটির খোঁজ পান অফিসাররা৷
চন্দন এবং আরও এক অভিযুক্ত সৌমেনকে সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু চন্দনের আইনজীবী এসে না পৌঁছানোয় সৌমেনের শুনানি শুরু হয়। সৌমেনের আইনজীবী বলেন, ‘‘অগাস্ট মাস থেকে সৌমেনকে মোট ১১ বার তলব করেছে সিবিআই৷ প্রতি বারই হাজিরা দিয়েছেন তিনি। চার্জশিটে সৌমেনের নাম না থাকা সত্ত্বেও তদন্তে সকল প্রকারের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সৌমেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত নন।’’ আদালতে সৌমেনের জামিনের আবেদনও জানানো হয়৷