গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁরও আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। ইতিমধ্যেই তাকে বেশ কয়েক দফায় জেরা করেছে সিবিআই।
এবার জানা গেল এই সম্পর্কিত আরও বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনেক জায়গায় প্রচুর জমি কেনা হত কম দামে। তার বিনিময়ে গরু চলে যেত মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের কাছে। সে পরে এই গরুগুলিই পাচার করত।
সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় যে গরু পাচার চক্র সক্রিয় ছিল, তা পুরেপুরি নিয়ন্ত্রিত হত বীরভূম থেকে। অনুব্রতর হয়ে এই কাজ সামলাতেন সায়গল হোসেন৷ এই ঘটনাতেই আরও একজনের নাম জানতে পেরেছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর।
সে সরাসরি এনামুলের হয়ে কাজ করত বলেই জানতে পারা যাচ্ছে। এছাড়াও আগেই সায়গলের সম্পত্তি নিয়ে বড় দাবি করেছে সিবিআই। ১০০ কোটির বেশি টাকার সম্পত্তি তার আছে বলে জানান হয়েছে।
এর পাশাপাশি সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে থাকা একটি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে৷ যা দু’-দু’বার হাতবদল হয়৷ শুধু তাই নয়, এই সম্পত্তি অনেক কম দামে কেনা হয়েছে বলেও নথিতে দেখানো হয়।
যদিও সিবিআই মনে করছে, গরু পাচার করে যে টাকা উপার্জন হত না অনুব্রত মণ্ডলের কোনও অ্যাকাউন্টে ঢুকত না। বরং তা চলে যেত সায়গল হোসেনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
অনুব্রতর হয়ে ‘ডিল’ করতেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এই লেনদেনের মধ্যে আরও কারা কারা জড়িয়ে থাকতে পারে, এখন সেই সন্ধানই চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।