আগামী বছরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচিত হবে ভোট৷ তারই প্রস্তুতিতে এবার কোমর বেঁধে ঝাপাতে চাইছে জাতীয় কংগ্রেস৷ ১ নভেম্বর থেকে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে ব্যাপক হারে সদস্য সংগ্রহ অভিযান৷ মঙ্গলবার এআইসিসি দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়৷
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা ভোটারদের বিশেষভাবে দলে টানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি দলের লক্ষ্য হবে প্রথমবার ভোট দেবেন এমন যুবারা৷ তাঁদের দলে টানতে কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷ সেজন্য দলীয় নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সভানেত্রীর নির্দেশ, তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ভোটারদের মনে পেতে তাঁদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে অভিযান চালাবেন কংগ্রেস কর্মীরা৷
দলের সাধারণ সম্পাদক, এআইসিসির পর্যবেক্ষক এবং দলের বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করেন সোনিয়া গান্ধী৷ ওই বৈঠকে বিজেপি ও আরএসএস-এর নীতির বিরোধিতায় সরব হন তাঁরা৷ শাসক দলের মিথ্যে মুখোশ খুলতে লড়াই আরও জোড়দার করার বার্তা দেওয়া হয়৷ কিন্তু দলের শক্তি বাড়াতে একদা বিজেপি’র দাওয়াই মিসড কলেই ভরসা রাখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সাত বছর আগে নয়া পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল গেরুয়া শিবির৷ মিসড কল দিলেই যোগ দেওয়া যেত বিজেপি’তে৷ এবার সেই কৌশলকেই অবলম্বন করছে কংগ্রেস৷