রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে উঠে আসছে একের পর তথ্য৷ একবার নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়াল বিনোদন জগতের নাম৷ আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম৷ যিনি সম্পর্কে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম সাক্ষী গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী৷
কুন্তলের দাবি, যাবতীয় টাকা হৈমন্তীর কাছেই আছে৷ তাঁর কথার সূত্র ধরেই কোথাও যেন এক সূত্রে বাঁধা পড়ল অর্পিতা এবং হৈমন্তী৷ কে এই হৈমন্তী? উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, তাঁর সঙ্গেও যোগ রয়েছে টলিউডের৷ হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। সেখানে তিন তলা বাড়িতে থাকেন তাঁর বাবা, মা আর ছোট বোন। ২০১৫-১৬ সালে গোপাল দলপতির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপরেই মডেলিংয়ের দুনিয়ায় তাঁর পা রাখা। অনেকটা ধূমকেতুর মতই টলি পাড়ায় উত্থান এই অভিনেত্রীর। তদন্তকারীদের অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই হৈমন্তীকে টলিউডে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর চালচলন কোনও অভিনেত্রীর চেয়ে কম ছিল না৷
তাপস মণ্ডলের হয়ে গোপাল দলপতি কাজ করা শুরু করার পর তাঁর হাতে প্রচুর টাকা চলে আসে৷ সেই সময়ই হৈমন্তীর সঙ্গে গোপালের পরিচয়। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। পরবর্তীকালে তাঁরা বিয়ে করেন। এখন কুন্তলের কথা অনুযায়ী, হৈমন্তীর কাছেই রয়েছে সমস্ত টাকা৷ তেমনটা যদি হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই হয়তো অর্পিতার মতোই পরিণতি হবে টলিউডের এই স্ট্রাগলিং অ্যাক্টরের৷ হয়তো জেলেই হবে অর্পিতা-হৈমন্তীর মোলাকাত৷