দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল মিলেছে৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর৷ সেই শূন্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন মামলাকারী ববিতা সরকার৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, কাজে যোগদানের প্রথম দিন থেকে ৪৩ মাস পর্যন্ত মন্ত্রীকন্যা যে বেতন পেয়েছেন, তা সম্পূর্ণটা দুটি কিস্তিতে আদালতে জমা করতে হবে৷ যা দেওয়া হবে ববিতাকে৷
ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন তিনি৷ সেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন মামলাকীর ববিতা সরকার৷ এদিন দ্বিতীয় কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২১ টাকা জমা করেন অঙ্কিতা৷ ২ সপ্তাহের মধ্যে রেজিস্টার জেনারেলের কাছ থেকে এই টাকা সংগ্রহ করবেন ববিতা৷ ১৮ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশ করে কমিশন৷ সেখানে ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল তাঁর। প্যানেল লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের পর সুযোগ আসে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের কাছে৷
নিয়োগের আশায় বুক বেঁধেছিলেন শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার। কিন্তু রাতারাতি পাল্টা যায় মেধা তালিকা৷ দেখা যায় ববিতাকে টপকে উপড়ে উঠে এসেছে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম৷ তাঁর বদলে চাকরি পান মন্ত্রীকন্যা।
ববিতা সরকারের নাম ছিল ২০ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম চলে গিয়েছে ২১ নম্বরে। আর ম্যাজিকের মতো ওয়েটিংলিস্টের এক নম্বরে পৌঁছে গিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। এরপরই ন্যায় বিচার চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ববিতা সরকার। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই চাকরি পান ববিতা৷ কর্মজীবনের সম্পূর্ণ বেতনও ফেরত দেন মন্ত্রীকন্যা৷