ক্লাস টু পাশ করে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার হয়ে উঠেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা রংবাজ শেখ। তিনি বিকলাঙ্গ রোগীদের চিকিৎসা করেন। এক অভিভাবকের সচেতনতায় সব জারিজুরি ফাঁস হোলো ভুয়ো ডাক্তারের।
জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের সুভাষ পল্লীর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়। তার বছর ৬ এর ছেলে ঋষি রায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু কোনরকম সুস্থ হয়নি। কোনওভাবে এই খবর পায় রংবাজ শেখ। সম্প্রতি তার বাড়িতে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার সেজে চলে আসেন। এরপর তার ছেলেকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে তাকে ওষুধ দেন। যেই ওষুধ গুলির জন্য তিনি ২৮০০০/- দাবী করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
অপরদিকে, বাচ্চার বাবা বিশ্বজিৎ রায়ের মনে সন্দেহ হয়। এরপর তার আই কার্ডের নাম ও ডিগ্রি দিয়ে ওয়েব সাইটে সার্চ করলে মিসম্যাচ দেখায়। এতে তার মনে আরও সন্দেহ হয়। ওষুধ নেওয়ার অছিলায় আজ রংবাজ শেখ কে বাড়িতে ডাকেন। তিনি এলে পাড়া প্রতিবেশীরা মিলে তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং ক্যামেরার সামনে তিনি স্বীকার করেন তিনি ভুয়ো ডাক্তার।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ক্লাস টু অবধি পড়াশোনা করেছেন। এরপর পরিবারের লোকেরা খবর দেয় বিন্নাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায় তাকে।