মাঝে বাকি আর মাত্র আর একটা মাস, তারপরেই বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্গাপুজো৷ ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার এই দুর্গাপুজো৷ সেই স্বীকৃতি উদযাপন করতেই আগামী ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা সহ জেলায় জেলায় মিছিলের আয়োজন করা হবে৷
সে জন্যগোটা রাজ্য থেকে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে আনতে হবে কলকাতায়৷ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাই স্কুল বন্ধ করে, পরীক্ষা না দিয়ে কলকাতায় আসবে তারা এবং মিছিলে অংশ নেবে৷ ওই দিন বেলা ১টার মধ্যে স্কুল কলেজ ও অফিস ছুটি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
১ সেপ্টেম্বর কোন রুটে মিছিল হবে, তাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন বেলা ২টো নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির সামনে থেকে মিছিল শুরু হবে৷ মিছিল যাবে রানিরাসমণি অ্যাভেনিউ পর্যন্ত৷ এই মিছিল যাতে রঞ্জিত হয়, সেই খেয়াল রাখার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
কিন্তু এভাবে স্কুল বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহলের একাংশ৷ কারণ ২৮ অগাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা৷ ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার দিন ধার্য করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ কিন্তু কলকাতায় মিছিলের জেরে তা বাতিল হতে বসেছে৷
অন্যদিকে, শিক্ষা মহলের একাংশ বলছে৷ গত দু’বছর করোনার দাপটে বন্ধ ছিল স্কুলে পঠন পাঠন৷ তার উপর এবছর স্কুল খুললেও গরমের ছুটি ১১ দিন বাড়ানো হয়৷ ফের ১ সেপ্টেম্বর হাফ ছুটি দেওয়া হলে পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটবে৷ নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহনদাস পণ্ডিত বলেন, সামান্য কারণেও স্কুল ছুটি দেওয়া হচ্ছে৷ যে কোনও ঘটনায় প্রধান টার্গেট হচ্ছে স্কুল৷ স্কুলগুলি যখন স্বাভাবিক ছন্দে এগোচ্ছিল তখন ফের ব্যঘাত ঘটাল সরকার৷