গত দুই বছর করোনার দাপটের শুরু থেকে বাংলা জুড়ে পরিষেবা দিয়ে গেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে বারংবার তারা বিক্ষোভ করেছে বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে। এবার আশা কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। বেতন বৃদ্ধি, চাকরিতে স্থায়ীকরণ সহ একাধিক দাবিতে সারা রাজ্য জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে আশা কর্মীদের মধ্যে।
এই ঘটনার জেরে রীতিমতো প্রশাসনিক স্তরেও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পথ অবরোধ করেন আশা কর্মীরা। তাদের দাবি, প্রত্যেকটি আশা কর্মীকে স্থায়ী সরকারি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করতে হবে। এছাড়াও উৎসাহ ভাতার বদলে সরকারি নিয়ম মেনে দিতে হবে বেতন।
পাশাপাশি তাদের দাবি আশা কর্মীদের জন্য নতুনভাবে বেতন পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে রাজ্যকে। গত বছরের ইনসেনটিভের টাকা ভাগে ভাগে দেওয়ার ব্যাপারটির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় আশা কর্মীদের। একাধিক দাবি সহ বেতন কাঠামো পরিবর্তনের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পথে নামেন আশা কর্মীরা।
৮ দফা দাবি নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সামনে জড়ো হন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ২২৯ জন আশা কর্মী। বিক্ষোভ চালানো হয় ক্যানিং – বারুইপুর রোডে। পাশাপাশি বিক্ষোভের আঁচ দেখা যায় নদীয়া জেলাতেও। নাজিরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান প্রায় ২৫০ জন আশা কর্মী।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে প্রতিবাদে জড়ো হন আশা কর্মীরা। সময়মতো দাবি পূরণ না হলে ধর্মঘটে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা। আশা কর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি তোলা হয় তাদের মজুরি ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা করতে হবে। এছাড়াও পেনশন, পিপিএফ এর মতো সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের আশা কর্মীরা একদিনের কর্ম বিরতির ডাক দিয়ে কাটোয়ার শ্রীখণ্ড স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন। তাদের দাবি নিয়ে চলতে থাকে স্লোগান। প্রসঙ্গত বেতন বৃদ্ধি, স্থায়ী চাকরি সহ একাধিক দাবিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই আশা কর্মীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এখন সেটাই দেখার।