সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্লট বুকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আলু রপ্তানি বন্ধ হওয়াতে কমলো আলুর দাম

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্লট বুকিং এর মাধ্যমে রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আলু রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। আর এর জেরেই বালুরঘাট বাজারে কমলো আলুর দাম। জানা গেছে প্রতি কেজি আলুর দাম দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। বাংলাদেশে আলু রপ্তানি আরো কিছুদিন বন্ধ থাকলে এই দাম আরো কমবে বলে ক্রেতারা মত প্রকাশ করেছেন। পোখরাজ আলু গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা কেজি দরে বালুরঘাট বাজারে বিক্রি হয়েছে। সেই আলুর দাম এ সপ্তাহে ৩২ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। উন্নত মানের জ্যোতি আলু গত সপ্তাহে ৩৭ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। সেই আলু এ সপ্তাহে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দড়ে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু আসার ফলে পুরনো আলুর চাহিদা কমেছে বলে জানা গেছে। আরো কিছুদিন গেলে পুরনো আলুর দাম আরো কমবে বলে বিক্রেতারা জানালেন। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনো পর্যন্ত নতুন আলু বাজারে আসেনি।

কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কৃষকেরা এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩০% জমিতে নতুন আলু লাগিয়েছেন। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের সমস্ত জমিতে আলু লাগানো হয়ে যাবে বলে কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে। ইতিমধ্যে জেলার যে সমস্ত হিমঘর গুলো আছে সেই হিমঘর গুলো থেকে পুরনো আলু বাজারে চলে এসেছে। তবে পুরনো আলুর যোগান কম এবং এই যোগান অদূর ভবিষ্যতে যে বাড়বে সেই আশা কম। তবে ক্রেতাদের মধ্যে আলুর দাম কমায় ইদানিংকালে তাদের আলু কিনতে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। বালুরঘাটের বাজারে আলুর দোকান গুলিতে এখন ক্রেতাদের ভিড়। তাদের কথা অনুযায়ী, এ বছরে আলুর দাম কমেনি। প্রথম থেকে আলুর দাম ছিল বেশি। তাই তারা সবজি রান্নায় আলুর পরিমাণ কমিয়ে অন্যান্য সবজি দিয়ে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছিলেন। তবে বর্তমানে আলুর দাম কিছুটা কমার ফলে তাদের আবার বাজারমুখী করতে উৎসাহিত করেছে।

প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যদি কেউ বেআইনি ভাবে আলু আলু মজুত করে রাখেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হবে। জেলার টাস্ক ফোর্স গুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি খুচরো বাজারে কোন আলুর দোকানদার ইচ্ছাকৃতভাবে আলুর দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি নেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম আরো কমে কিনা?