তিনি কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ ও যুব বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ।তাঁর হাত ধরেই শুরু দিয়োগো মারাদোনার পথ চলা।কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বার বিশ্বকাপ জেতানো সেই সিজ়ার লুইস মেনোত্তি প্রয়াত হলেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। ফেডারেশন একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, খুব দুঃখের সঙ্গে তারা জানাচ্ছে যে, কোচ সিজ়ার লুইস মেনোত্তি আর নেই। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ ছিলেন উনি। বর্তমান সময়ে উনি জাতীয় দলের ডিরেক্টর পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। ওঁর পরিবারকেও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
১৯৭৮ সালে মেনোত্তি ছিলেন মারিয়ো কেম্পেসের সেই দলের কোচ, যে দল ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল।তাঁর জন্ম হয়েছিল লিয়োনেল মেসির শহর রোসারিয়োতে।তিনি রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন এবং প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবশেষে রবিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মেনোত্তি তাঁর খেলোয়াড় জীবনে রোসারিয়ো সেন্ট্রাল, রেসিং ক্লাব, বোকা জুনিয়র্স, স্যান্টোস, জুভেন্টাসের মতো দলগুলিতে খেলেছেন । তবে কোচ হিসাবেই তিনি বেশি পরিচিতি পান।মেনোত্তি তাঁর কেরিয়ারে ১৬টি দলকে কোচিং করিয়েছেন । তার মধ্যে আর্জেন্টিনা ছাড়াও মেক্সিকোর জাতীয় দল যেমন রয়েছে, তেমনি বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাবও রয়েছে। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর ১৯৭৯ সালে দেশের যুব দলের কোচ হয়েছিলেন মেনোত্তি। ১৯৭৯ সালেই তিনি দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। সেই দলেই ছিলেন মারাদোনা। এরপরে মারাদোনাকে বার্সেলোনাতেও কোচিং করিয়েছেন মেনোত্তি। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে ছিলেন মেনোত্তি। তবে সেবার দল দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নেওয়ায় তাঁকে সরিয়ে কার্লোস বিলার্দোকে কোচ করা হয়। তার পরে তিনি আর আর্জেন্টিনার কোচ হননি কখনও।