দেশ জুড়ে চলতে থাকা বিক্ষোভের মাঝেই জমা পড়ল আবেদনপত্র

চলতি মাসের শুরুতেই সেনা নিয়োগ নিয়ে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। আর ঘোষণা হতেই শুরু দেশজুড়ে বিক্ষোভ। ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের নতুন মডেল অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই এই প্রতিবাদের জেরে রেলের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এই সমালোচনার মাঝেই এমতাবস্থায় খুলল বায়ুসেনার অগ্নিবীরদের নিয়োগের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পোর্টাল। আর তাতেই দেখা গেল বায়ুসেনার অগ্নিবীর নিয়োগের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার অনলাইন পোর্টালে ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র কয়েক ঘন্টায়।

বায়ুসেনা দপ্তর সূত্রে খবর, সকালেই পোর্টাল খোলার পর থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৮০০টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। প্রসঙ্গত রেজিস্ট্রেশনের জন্য পোর্টাল খোলা হয় সকাল দশটা নাগাদ। বায়ুসেনা আধিকারিকদের একাংশের মত, সাম্প্রতিককালে বায়ুসেনার নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার রেকর্ড। দেশজোড়া প্রতিবাদের মধ্যেই অগ্নিবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে, মাত্র কয়েক ঘন্টায় চার হাজারের কাছাকাছি আবেদনপত্র আসতে পারে তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন ক্যাটাগরিতে অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এমন ঘোষণা করার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষো-আন্দোলন। কিন্তু তার মধ্যেই তিন সেনার সর্বাধিনায়করা জানিয়ে দেন যে, কোনমতেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে পিছু হটবে না কেন্দ্র অর্থাৎ নিয়োগ হবেই। এমতাবস্থায় গত সপ্তাহেই প্রথমে স্থলবাহিনী এবং পরে বায়ুসেনার নিয়োগের পোর্টাল খোলা হয়েছে।

সেক্ষেত্রে বায়ুসেনার তরফ থেকে কিছু নিয়ম কানুনের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বায়ুসেনার এই প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত অগ্নিবীররা ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স ১৯৫০ অ্যাক্ট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং অবিবাহিত পুরুষরাই শুধুমাত্র আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। নিয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন হবে এবং মেডিকেল পরীক্ষায় পাস করলে তবেই মিলবে ছাড়পত্র। একইসঙ্গে জানানো হয় বায়ুসেনার অগ্নিবীরদের ইউনিফর্মের ব্যাজ এবং পূর্ণ বায়ুসেনা আধিকারিকদের ব্যাজ হবে ভিন্ন। অগ্নিবীরদের জন্য থাকবে আলাদা ব্যাজ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অগ্নিবীরদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। চার বছর পরে দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োজিত এই অগ্নিবীরদের ৪৫ শতাংশ স্থায়ী সেনা আধিকারিকের পদ পাবেন।