সম্প্রতি এক মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যে জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি। অন্যায়ের কোনো শাস্তি না পেয়ে জামিন মেলে পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল ষড়যন্ত্রীর৷ ৷ তার জামিন পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক তাঁর পরিবার৷
চার্জশিট নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরসরি অভিযোগ তুললেন তাঁরা৷ নিহত কাউন্সিসরের স্ত্রী, সন্তান-সহ গোটা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়৷ অনুপম দত্তর ভাই নিরুপম দত্তের দাবি, খুনের ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ রয়েছে৷
পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকারও করেছে খুনি৷ গোটা ঘটনায় সঞ্জীব ওরফে বাপি মণ্ডলের যুক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে৷ এর পরেও কী ভাবে হাই কোর্টে জামিন মিলল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে নিহত কাউন্সিলরের পরিবার৷
অনুপম দত্তর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্তের অভিযোগ, ‘‘একটা মানুষ যদি একটা মানুষকে মেরে এভাবে হঠাৎ বেরিয়ে যায়, তাহলে আমার কথা পরে ভাববেন, কোন মানুষটা আজ নিরাপদ আছে?’’
তাঁর কথায়, পুলিশের তদন্তে ভরসা রেখছি৷ এখনও রাখছি৷ তবে আরও ভালো করে তদন্ত হওয়া উচিত৷ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে তদন্তের দাবি জানাবেন বলেও জানান মীনাক্ষী৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অনুপম দত্তের পরিবার৷
অন্যদিকে নিরুপম দত্ত বলেন, ‘‘এতদিন তাঁরা পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা রেখেছিলেন৷ কিন্তু তদন্তে গাফিলতি ছিল৷ সেই কারণেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে বাপি৷’’ মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়া নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের৷
যদিও আস্থা হারাচ্ছেন না তাঁরা৷ কারণ হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট৷ তবে নিরুপম দত্ত জানান, হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মমলা করার মতো আর্থিক ক্ষমতা তাঁদের নেই৷ ফলে প্রবল নিরাপত্তাহীনতায় তাঁরা ভুগছেন৷
বাপির জামিন আতঙ্কিত অনুপম দত্তের স্ত্রী তথা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত৷ তাঁর কথায়, বাপির মুক্তিতে শুধু তাঁর পরিবারের নয়,যে কোনও মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে৷ তার জামিনের বিরোধিতা করা উচিত বলেও তিনি মনে করেন৷