রামপুরহাটের ঘটনায় কাজ চলছে তৎপরতার সাথে। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর বগটুই গ্রামে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল সেই ঘটনায় সিবিআই চার্জশিটে নাম রয়েছে আনারুল হোসেনের। তিনি অন্যতম মূল অভিযুক্ত এই মামলায়।
যদিও প্রথম থেকেই আনারুল দাবি করে এসেছেন যে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এবার আরও বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, সময় এলে সব ষড়যন্ত্রীর নাম বলবেন! তাঁর এই মন্তব্যে এখন থেকে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
সিবিআই দাবি করেছে যে, বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা থামানো যেত। থামাতে পারতেন খোদ আনারুল। কিন্তু তিনি তা করেননি। অগ্নিকাণ্ড রুখতে তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি, পুলিশও ডাকতে দেননি। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার প্রথম দিন থেকেই আনারুলের দাবি ছিল তিনি নির্দোষ। তাঁকে এই কাণ্ডে ফাঁসানো হয়েছে।
এবার সেই একই দাবি করলেন তিনি। বললেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে তাঁর বাড়ি কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দূরে। তাঁকে ফাঁসাতেই চক্রান্ত করা হয়েছে। সময় এলে তিনি সবার নাম বলে দেবেন। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট জেল থেকে সিউড়ি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছিল তার ৯০ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল সহ ১৮ জনের। সিবিআইয়ের দাবি, বগটুই-কাণ্ডে প্ররোচনা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে যখন আগুন লাগানো হচ্ছিল তখন তাঁকে অনেকেই ফোন করেছিলেন সাহায্য চেয়ে। কিন্তু তিনি সাহায্য তো করেননি উলটে বলেছিলেন পুলিশকে যেন খবর দেওয়া না হয়। পুলিশ যাবে না। পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন তিনি যে, ভাদু খুনের প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে, ঘরবাড়ি জ্বলবে।