গত মাসেই বিখ্যাত সংগীত শিল্পীর মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিলো প্রায় গোটা দেশকে। এই ঘটনায় দায়ের হয় মামলা। এবার সঙ্গীত শিল্পী কেকে’র মৃত্যু সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার গ্রহযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্য। কিন্তু এই মামলায় আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল জানান, এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এই ঘটনায়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই তাদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক, এই আর্জি ছিল। যদিও আদালত আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কেকে’র মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল তিনটি জনস্বার্থ মামলার। এই শুনানিতে আইনজীবী সভ্যসাচী চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, গুরুদাস মহা বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গত ৩১ মে সঙ্গীত শিল্পী কেকে পারফরম্যান্স করে ছিলেন কলকাতা নজরুল মঞ্চে। সেখানে আসন সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০০, কিন্তু দর্শক হয়েছিল ৭ হাজার ৫০০ জন। অনুষ্ঠানে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল, যার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। এই কারণেই তাঁর দাবি ইডি দ্বারা তদন্ত করা হোক এই ঘটনার।
কিন্তু এজি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছে এই ইস্যুতে এবং তার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিনে যে কোনও ধরণের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এদিকে আইনজীবী রবি শঙ্কর চট্টোপাধ্যের দাবি, প্রয়াত শিল্পী কেকে মৃত্যু অতিরিক্ত জমায়েতে হয়ে ছিল। সেখানে এসি মেশিন কাজ করেনি। যে কারণে সেখানে অক্সিজেন নিতে সমস্যা হচ্ছিল। উদ্যোক্তাদের গাফিলতি ছিল। সেখানে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না, ফায়ার ইঞ্জিনও ছিল না।