বহু টালবাহানা অতিক্রম করে অবশেষে পুরভোট সম্পন্ন হলো রাজ্যের মহানগরীতে। কিন্তু এই ভোট নিয়ে সব বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। নির্বাচনে বেলাগাম সন্ত্রাস হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সিপিএম এবং বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছে এই ইস্যুতে। জানা গিয়েছে, হাইকোর্ট এই বিষয় নিয়ে মামলার অনুমতি দিয়েছে।
সিপিএম এবং বিজেপি দুই দলই পুরভোটে কারচুপি এবং লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার এবং বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পৃথক ভাবে আবেদন করেন হাইকোর্টে। দুটি আবেদনই মঞ্জুর করেন আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, গতকাল নির্বাচনে কোথাও সিসিটিভি কাজ করেনি, আবার কোথাও ব্যাপক ছাপ্পা করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার পুরভোটকে ‘স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রহসনের নির্বাচন’ বলে দাবি করে ফেলেছেন।
গতকালের ভোট নিয়ে বিরোধীরা একদমই খুশি নয় তাই তারা আবার ভোট চেয়েছে। কিন্তু পুনর্নির্বাচনের প্রশ্নে রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচন হবে না।’ অর্থাৎ পুনর্নির্বাচনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত খারিজ করে দিল কমিশন৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথের তথ্য খতিয়ে দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতে, মোটের উপর কলকাতা পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটের সবচেয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ছিল বিরোধী ঐক্য৷ এজেন্টদের মারধর, রিগিং-এর অভিযোগে বড়তলা থানার সামনে এক যোগে বিক্ষোভ দেখায় বাম-কংগ্রেস ও বিজেপি৷