রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাম আমলে যত চাকরি হয়েছে, তার চিরকুট খুঁজে বার করতে।
এই নির্দেশের কয়েকদিনের মধ্যেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটার প্রকাশ করে তৃণমূল৷ যা নিয়ে রীতিমত হইচই। তৃণমূল দাবি, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুজন-জায়া। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেজে চাকরি করেছেন তিনি। এবার এই নিয়ে তদন্ত হবে কিনা সেই বিষয়ে বড় মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু। জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে একটি সভায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেছিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আনবে তৃণমূল। পরের দিনই প্রকাশ্যে চলে আসে সেই নথি। যদিও সুজনের বক্তব্য, এটা তো জয়েনিং লেটার। সুপারিশপত্র তো নয়। তবে আজ এই বিষয় নিয়ে যে তদন্ত হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েই রাখলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।